আজকের এই পোস্ট এ আমি আপনাদের কে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলো স্টেও বাই স্টেপ বোঝাবো।

ব্লগিং করে টাকা আয় করার কথা ভাবছেন? তাহলে আপনাকে জানতে হবে সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে। বর্তমানে ইন্টারনেটে অসংখ্য আর্টিকেল রয়েছে একই সাথে বেড়ে গিয়েছে প্রতিযোগিতা। তাই গুগলে র‍্যাংক পাওয়ার জন্য আপনাকে লিখতে হবে এসইও ফ্রেন্ডলি  স্পষ্ট,  নিপুন ও আকর্ষণীয় আর্টিকেল । মোটকথা আপনার লেখা আর্টিকেল কে করে তুলতে হবে প্রাণবন্ত। 

ব্লগিং করার পাশাপাশি আপনি যদি কনটেন্ট লিখে আয় করতে চান।  তাহলে আপনাকে জানতে হবে সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লেখার কৌশল সম্পর্কে। সাধারণত আমরা যে ভূলটা করে থাকি সেটি হলো প্রথমেই আমরা রিসার্চ না করেই কনটেন্ট লেখা শুরু করে দেই। যার কারণে আমরা ভিজিটর পাওয়ার বদলে ভিজিটর হারিয়ে ফেলি।

 

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কি?

 

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল বলতে বুঝায় আকর্ষণীয়, নিপুণ,  সহজ ভাষায় ভাষায় এসইও এর সামঞ্জস্যতা রেখে কোন কনটেন্ট কে অপটিমাইজড করবেন। তখন, সেটিই হবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল।  

আরও সহজ করে বলি।  মনে করুন আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখে সেটি পাবলিশ করলেন।  কিন্তু গুগল কিভাবে বুঝবে আপনার লেখা আর্টিকেল টি গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে লেখা? 

তাই আপনাকে আর্টিকেল লেখার সময় এমন সারসংক্ষেপ লিখতে হবে যাতে গুগল সেটি সহজেই বুঝতে পারে। আর এই কৌশল গুলো প্রয়োগ করে লেখা একটি পূর্ণ আর্টিকেল কে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল বলা হয়। 

 

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার প্রয়োজনীয়তা


সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর আসুক এটি আমরা সবাই চাই। অর্গানিক ভিজিটর আনার জন্য এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেলের গুরুত্ব অপরিসীম। কিভাবে জানতে চান?

আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে তাহলে আপনি অনেকগুলো ওয়েবসাইট দেখতে পারবেন।  কিন্তু সবার উপরে যে আর্টিকেল  টি থাকবে এবং এর পরে যে আর্টিকেল গুলো থাকবে।  এই সব আর্টিকেল কিন্তু একই টপিকের উপর লেখা হয়েছে।  কিন্তু আপনি চিন্তা করে দেখুন তো নিচের আর্টিকেল গুলো কেনো গুগুল সার্চ রেজাল্ট এ সবার প্রথমে আসলো না?

এর কারণ হচ্ছে এসইও অপটোমাইজ না করা।  প্রথমে যে আর্টিকেল টি দেখা গেছে সেই আর্টিকেল টি অন্যান্য আর্টিকেলের তুলনায় গুগলের অ্যালগরিদম মাফিক পূর্ণাঙ্গ ভাবে অপটোমাইজ করা আছে।  যার কারণে নিচে থাকা আর্টিকেল গুলো প্রথম সার্চ রেজাল্ট এ আসেনি। আবার ভালভাবে অপটোমাইজ না করার কারণে কিছু আর্টিকেল গুগলের পরের পেজগুলোতে অবস্থান করছে। 

 

আর্টিকেল কে এসইও ফ্রেন্ডলি করার কৌশল

 

এতক্ষণ আমরা জানলাম এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কি এবং এর প্রয়োজনীয়তা। আর্টিকেল কে এসইও ফ্রেন্ডলি করার জন্য বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এখন আমি আপনাদের সামনে সেই কৌশল গুলো তুলে ধরবো।

তবে তার আগে,  আমি এখন বারবার এসইও ফ্রেন্ডলি শব্দটি ব্যাবহার না করে "অপটোমাইজ" শব্দটি ব্যবহার করবো। তাই যখন আপনি "অপটোমাইজড" শব্দটি দেখবেন ধরে নিবেন আমি এসইও ফ্রেন্ডলি বুঝিয়েছি। আমি কেন এটি বললাম তা একটু পরেই বুঝতে পারবেন। 

 

আর্টিকেল অপটোমাইজড করার ১০ টি উপায়

 

একটি আর্টিকেল কে অনেক ভাবে অপটোমাইজ করা যায়। এই পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি অপটোমাইজেশন কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করবো। আমি এখানে প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত এবং সহজ করে বোঝানোর চেষ্ঠা করবো ।

একটি আর্টিকেল মূলত Title, text, heading, image, description, heading tag নিয়ে গঠিত । এখন আর্টিকেলের গঠন যদি সঠিক না হয় তাহলে  তো সেটি আদর্শ মানের আর্টিকেল হবে না । আদর্শ মানের আর্টিকেলে title, heading, image, text, description, ইত্যাদির যথাযথ ব্যবহার থাকতে হবে । তবেই আমরা সেটিকে একটি আদর্শ আর্টিকেল বা এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল বলবো । 

আমি যে বিষয়গুলোর কথা বললাম সেগুলো যদি একটি আর্টিকেলে থাকে তাহলেই কিন্তু আর্টিকেলটি আদর্শ মানের হবে না । অবশ্যই উক্ত বিষয়গুলোর যথাযথ ব্যবহার থাকতে হবে এবং সুন্দর করে অপটোমাইজ করতে হবে । তবেই সেটিকে আমরা আদর্শ কনতেন্ট বা আর্টিকেল বলবো ।

 

কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হয়

 

এখন আমরা জানবো কিভাবে কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হয় । আমি এখানে স্টেপ বাই স্টেপ বুঝানোর চেষ্ঠা করবো । 

 

কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হয়


কি-ওয়ার্ড নির্বাচন

 

আর্টিকেল লেখার আগে অবশ্যই আপনাকে কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে।  যদি আপনি কি-ওয়ার্ড নির্বাচন না করেন । তাহলে কনটেন্ট লেখার সময় আপনি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারবেন না।   কেননা যদি আপনি কি-ওয়ার্ড নির্বাচন না করেন তাহলে আপনি একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল লিখতে বার্থ হবেন।  

আপনার আর্টিকেল টি আকর্ষণীয় নাও হতে পারে। তাই আর্টিকেল লেখার আগে আপনাকে অবশ্যই কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। 

কি-ওয়ার্ড খুজে বের করার জন্য Ahref এবং Semrush টুল ব্যবহার করতে পারেন । যদিও এই দুইটি টুল প্রিমিয়াম টুল । ফ্রি টুলের মাধ্যমেও আপনি অনেক ভাল ভাল কি-ওয়ার্ড খুজে বের করতে পারবেন। 

ফ্রিতে কি-ওয়ার্ড রিসার্চের জন্য নিচের টুল গুলো ব্যাবহার করতে পারেন । 

  • Google Keyword Planner
  • Keyword Surfer Extension 
  • Keywordtool.io
নোটঃ  সার্চ ভ্যালু আছে এমন কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করুন । 

কি ওয়ার্ড নির্বাচন করা হয়ে গেলে এবার আপনাকে ফোকাস কি-ওয়ার্ড এর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। ফোকাস কি-ওয়ার্ড সিলেক্ট করা হয়ে গেলে চলুন এবার আমরা আর্টিকেল লেখার পরবর্তী ধাপ গুলো সম্পর্কে দেখে নেই । 
 

টাইটেল নির্বাচন 

আর্টিকেল লেখার আগে অবশ্যই আপনাকে কি-ওয়ার্ড বেজড একটু সুন্দর টাইটেল ব্যবহার করতে হবে। কারণ ভিজিটর রা যখন কোনকিছু লিখে সার্চ করে তখন যে রেজাল্ট গুলো ভিজিটর দেখতে পারে তার মধ্য থেকে, যে আর্টিকেলের টাইটেল সবথেকে বেশি সুন্দর সেই আর্টিকেল টি পড়তে পছন্দ করে থাকে । 

টাইটেল নির্বাচনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে, টাইটেল টি যেনো অবশ্যই আই ক্যাচি হয় বা চোখে ধরে এমন। সহজ কথায়, এমনভাবে টাইটেল লিখতে হবে যেনো ভিজিটরের সামনে আর্টিকেল টি আসলে ভিজিটর যাতে ক্লিক করে । এতে করে কনটেন্ট এর গুরুত্ব গুগলের কাছে বেড়ে যায় এবং আর্টিকেল সহজেই গুগলে র‍্যাংক করে ।
 

যেভাবে টাইটেল লিখবেনঃ 
  • টাইটেল এ মূল কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন । 
  • টাইটেল যেন ৫০-৬০ শব্দের মধেই হয় । 
  • টাইটেল এমনভাবে লিখুন যেন টাইটেল দ্বারা প্রশ্ন বুঝায় 
    উদাহরনঃ মূল কি-ওয়ার্ড "Make Money Online"
    টাইটেল হবে ঃ "How To Make Money Online"

আর্টিকেল এর শুরুর অংশ 

 

আর্টিকেলের শুরুর ১৫০-২৫০ শব্দ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । আর্টিকেলের প্রথম অংশ এর উপর নির্ভর করে আপনার কনটেন্ট কতটা হেল্পফুল  বা একজন ভিজিটর আপনার লেখা পোস্ট থেকে কি কি নতুন কিছু জানতে পারবে। 

যদি আরও সহজ করে বলি, আপনার আর্টিকেলের প্রথম অংশ নির্ধারন করে আপনার ভিজিটর ওবেসাইটে কতক্ষণ থাকবে বা আপনার লেখা আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ পড়বে কিনা । তাই কনটেন্ট লেখার সময় প্রথম অংশে যতটা সম্ভব টাইটেল কিছু তথ্য দিয়ে সুন্দর করে বর্ণনা করতে হবে।

একটি কনটেন্ট কে ফুটিয়ে তোলার জন্য এবং এসইও এর জন্য আর্টিকেলের প্রথম অংশ সুন্দর ও সহজ করে লিখতে হবে । অন্যথায় কঠিন করে লিখলে ভিজিটর পড়তে চাইবে না । তাই যতটা সম্ভব সহজ করে আর্টিকেল লেখা শুরু করতে হবে । লেখার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন এই অংশে আপনার মেইন কি-ওয়ার্ড দুইবার ব্যাবহার হয়। 

নোটঃ  প্রথম অংশে আপনাকে এমন কিছু লিখতে হবে, ভিজিটর যেন, অল্প একটু পরে চলে না যায় । আর আমি আগেই বলেছি গুগল সেই সকল কনটেন্ট কে র‍্যাংক করায় । যে সকল কনটেন্ট এর প্রথম অংশ সুন্দর। 


হেডিং ট্যাগ এর ব্যাবহার 

 

মনে রাখতে হবে হেডিং ট্যাগের কাজ হলো আপনার মূল টপিক কে ফোকাস করা । তাই হেডিং এ যে কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন সেটি যেন মেইন কি-ওয়ার্ড কে ফোকাস করে । সবসময় চেষ্ঠা করবেন মেইন কি-ওয়ার্ড কে হেডিং এ ব্যবহার করার ।

পাঠযোগ্য আর্টিকেল লেখার নিয়ম 

 

কি-ওয়ার্ড রিলেটেড কনটেন্ট দেখতে বা পড়তে সবাই ভালবাসে । আপনাকে যদি ১০ মিনিটের একটি ভিডিও দেখতে বলা হয় । যদি ভিডিও টি ভাল হয় তাহলে অবশ্যই আপনি পুরো ভিডিও টি দেখবেন । আর যদি ভিডিও টি আপনার ভাল না লাগে তাহলে অবশ্যই ভিডিওটি আপনি এড়িয়ে যাবেন । 

কনটেন্ট লেখার সময় আপনাকে সবসময় ভিজিটরদের কথা চিন্তা করতে হবে । আপনি চাইলে যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারবেন কিন্তু ভিজিটর যদি আগ্রহ না দেখায় তাহলে আপনার কনটেন্ট এর ভ্যালূ থাকবে না । অর্থাৎ লেখার সময় আপনাকে ভিজিটর দের কথা চিন্তা করে লিখতে হবে । 

আদর্শ কনটেন্ট লেখার কিছু নিয়ম
  • স্পষ্ট ভাষায় এবং সহজ ভাবে লিখতে হবে যেনো ভিজিটর সহজেই বুঝতে পারে । জটিল শব্দ প্রোয়োগের ফলে ভিজিটর পুরো লেখা পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং দ্রুত স্ক্রল করে শেষ করে। তাই জটিল শব্দ চয়ন করা যাবে না।
  • যত সহজ শব্দ ব্যবহার করে কনটেন্ট লিখতে পারবেন ভিজিটর ততো আগ্রহ দেখাবে । সহজ করে কোন টপিক নিয়ে অল্প কথার মাধ্যমে বুঝাতে পারলে ভিজিটরের আগ্রহ বাড়বে এবং পুরো আর্টিকেল পড়তে চাইবে । 
  • কনটেন্ট এর লেখাগুলো ছোট ছোট করে দিলে দেখতে যেমন ভাল লাগে পাশাপাশি ভিজিটররা আগ্রহ দেখিয়ে পুরোটা পড়তে চায়। কিন্তু যখন অনেক বড় বর করে প্যারা লিখবেন তখন দেখতে যেমন ভাল লাগবে না। তেমনি অনেকেই পড়তে ও চাইবে না।
  • কনটেন্ট এর মাঝে কিছু লোভনীয় শব্দ যোগ করুন । এতে করে ভিজিটরের আগ্রহ বাড়বে । খুব ভাল হয় যদি আপনি লোভনীয় শব্দগুলো Bold করে লেখেন । এতে করে একবার হলেও ভিজিটর চোখ বোলাবে । 

সঠিক ইমেজ  ব্যবহার করা 

আর্টিকেল লেখার পাশাপাশি ইমেজ ব্যবহার করলে আর্টিকেলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় । তাই আর্টিকেল লেখার মাঝে রিলেটেবল ইমেজ ব্যবহার করা উত্তম। এখন আমরা জানবো আর্টিকেলে এ ইমেজ ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম এবং ইমেজ ব্যবহার করার কিছু সূবিধা সম্পর্কে । 

ইমেজ ব্যবহার করলে যেমন ভিজিটরদের কে আকর্ষণ করা যায়। তেমনি ইমেজ ব্যবহার  করে সহজেই ভিজিটর কে যে কোন টপিক বোঝানো যায় ।

SEO এক্সপার্টদের মতে, কনটেন্ট এ যত বেশি ইমেজ থাকে কনটেন্ট কে ততো বেশি হাইলাইট করার পাশাপাশি SEO Friendly করা যায় । তবে মনে রাখতে হবে যে, কনটেন্ট এ শুধু ইমেজ ব্যবহার করলেই হবে না বরং ইমেজ গুলোকে SEO অপটোমাইজ করতে হবে । 

ইমেজ অপটোমাইজ করার  নিয়ম

  • কনটেন্ট এ ব্যবহার করা ইমেজে ALT Tag , Caption যুক্ত করতে হবে । 
  • ইমেজ এর সাইজ যত কম রাখা যায় ততোই ভাল । তাই অবশ্যই ইমেজ কে কমপ্রেস করে নিবেন। 

    ইমেজ কমপ্রেস করার অনলাইন টুল 

  • রিলেটেড ইমেজ ব্যাবহার করা । অর্থাৎ কনটেন্ট রিলেটেড ইমেজ ব্যাবহার করতে হবে ।
  • কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ব্যবহার করতে হবে। কোন থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে ইমেজ ডাউনলোড করে সরাসরি ব্যবহার করা যাবে না । প্রয়োজনে ইডিট করে ইমেজ ব্যবহার করতে হবে। 

পারমালিংক অপটোমাইজেশন 

একটি কনটেন্ট এর জন্য পারমালিংক অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে । আমরা যখন কোনকিছু সার্চ করি তখন টাইটেল এর পর পারমালিংক শো করে যা SEO তে অনেক ভূমিকা পালণ করে। তাই পারমালিংক অপটোমাইজ করা অনেক জরুরি । 

পারমালিংক  অপটোমাইজ করার নিয়ম

  • পারমালিংক যতটা সম্ভব ছোট করা ।
  • URL এ ফোকাস কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা ।
  • URL এ প্রতিটি শব্দের প (-) ব্যবহার করা । 
    উদাহরনঃ example.com/make-money-online


আর্টিকেল ডেসক্রিপশন অপটোমাইজেশন 

আমরা গুগল সার্চ ইঞ্জিন এ কোন বিষয় নিয়ে সার্চ করলে প্রথমে টাইটেল তারপর URL এবং সবশেষে ডেসক্রিপশন আসে । তাই একটি আর্টিকেল কতটুকু এসইও ফ্রেন্ডলি হবে তা নির্ভর করে আর্টিকেল ডেসক্রিপশন এর উপর । 

এখন অর্গানিক ভিজিটর টার্গেট করে থাকলে অবশ্যই আর্টিকেল এর ডেসক্রিপশন অপটোমাইজ করতে হবে । অন্যথায় আর্টিকেল গুগলের টপ পেজে থাকলেও ভিজিটর আশার সম্ভাবনা কম থাকবে । 

ডেসক্রিপশন অপটোমাইজ করার উপায়

ডেসক্রিপশন অপটোমাইজ করার কিছু কৌশল রয়েছে । কিছু কিছু কৌশল অবলম্বন করলে ডেসক্রিপশন অপটোমাইজ করা সহজ  । 

  • ডেসক্রিপশন-এ মেইন কি-ওয়ার্ড ব্যাবহার করা ।
  • LSI কি-ওয়ার্ড ব্যাবহার করা । 
  • লোভনিও শব্দ ব্যবহার করা । 


কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি 

 

SEO এর ক্ষেত্রে কি-ওয়ার্ড ডেসন্নিটি মারাত্নক প্রভাব ফেলে । কি-ওয়ার্ড ডেসনিটি ব্লতে বোঝায় কি-ওয়ার্ডের ঘনত্ব কে । একটি আর্টিকেল এ যখন একাধিক ফোকাস কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয় তখন তাকে কি-ওয়ার্ড ডেসনিটি বলা হয়ে থাকে । 

কনটেন্ট কে এসইও ফ্রেন্ডলি করতে হলে অবশ্যইন মেইন কি-ওয়ার্ড কে ফোকাস কি-ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে । তবে এক্ষেত্রে মেইন কি-ওয়ার্ড কে এতবেশি ব্যবিহার করা যাবে না যাতে হিতের বিপরীত হয়ে যায় । অর্থাৎ Ranking Up করতে গিয়ে Ranking down হয়ে যায় ।



শেষকথা 
 

এসইও ফ্রেন্ডলি বলতে আমরা বুঝলাম কনটেন্ট কে এমনভাবে উপস্থাপন করা যেনো সেটি গুগলের সার্চ ইঞ্জিন সহজেই বুঝতে পারে এবং কনটেন্ট কে সুন্দর করে সাজিয়ে লেখা যাতে ভিজিটররা পড়ার আগ্রহ দেখায়। 

এই আর্টিকেল টি পড়ার পর যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে নির্দিধায় কমেন্ট করুন । যত দ্রুত সম্ভব আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করবো।