আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে বর্তমান মার্কেটে সবথেকে সেরা ফোন কিনতে চান। কিন্তু বর্তমান মার্কেটে এই বাজেটে অনেক ভেরিয়েন্ট এর অনেক ফোন রয়েছে। তাই অনেকে কনফিউজড হয়ে যাচ্ছেন। বুঝতে পারছেন না যে কোন ফোনটি রেখে কোন ফোনটি নেবেন। তাই আজকের এই ব্লগ পোস্ট টি আপনার জন্য ।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি, বর্তমান মার্কেটে ২৫থেকে ৩০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে সবথেকে ৭ টি সেরা গেমিং মোবাইল নিয়ে। এই সাতটি ফোন দিয়ে আপনি এই বাজেটের মধ্যে সবথেকে বেস্ট গেমিং পারফরম্যান্স পাবেন সাথে সেরা ক্যামেরা সেটআপ পাবেন এবং এই ফোনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করতে পারবেন।
৭ টি সেরা গেমিং মোবাইল
- Poco F3 | পোকো এফ৩
- OnePlus Nord CE2 | ওয়ানপ্লাস নর্দ সিই২
- Realme GT Master Edition | রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন
- Poco X3 Pro | পোকো এক্স থ্রী প্রো
- Xiaomi 11 Lite NE 5G | শাওমি ১১ লাইট এনই ৫জি
- Poco X4 Pro | পোকো এক্স ৪ প্রো
- Vivo V23e | ভিভো ভি২৩ই
Vivo V23e | ভিভো ভি২৩ই
তবে একবারে আল্ট্রামোডে প্লে করতে গেলে কিছুটা ল্যাগিং ইস্যু দেখা দিতে পারে। ফোনটিতে আপনি ভালো মাল্টি টাস্কিং এর এক্সপেরিয়েন্স পাবেন। এই ফোনটিতে Out Of The Box দেয়া হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ইলেভেন (Android 11)। এর ব্যাক হ্যান্ডে আপনি পেয়ে যাবেন ফান্টাস টুয়েলভ। এই ফোনটিতে সিকিউরিটির জন্য দেওয়া আছে ইন ডিসপ্লে অপটিক্যাল সেন্সর।
আর এই ফোনটিতে ব্যাটারির জন্য দেয়া হয়েছে 4050 mAh ব্যাটারি। সাথে দেয়া হয়েছে ৪৪ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জার। এই ফোনটি বর্তমানে কিছুটা ডিস্কাউন্ট সহ ৮/১২৮ জিবি ভেরিয়েন্ট এ পাওয়া যাচ্ছে ২৫ হাজার ৯৯০ টাকার মধ্যে। তবে এর পূর্বের মূল্য ছিল ২৭ হাজার ৯৯০ টাকা । এই ফোনটি মূলত যারা ভালো ক্যামেরা সেটআপ পেতে চান এবং সুন্দর লুক ও ডিজাইন পেতে চান সাথে ভালো ডিসপ্লে পেতে চান তাদের জন্য।
Poco X4 Pro | পোকো এক্স ৪ প্রো
আমাদের লিস্টে ৬ নম্বর অবস্থানে আমরা যে ফোনটি রেখেছি । এই ফোন টি হলো পোকো X4 প্রো। এই ফোনটিতে ডিসপ্লের জন্য দেওয়া হয়েছে ৬.৭ ইঞ্চ মাপের একটি অ্যামোলেড ডিসপ্লে । এবং রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্জ। এই ডিসপ্লেতে দেয়া হয়েছে গরিলা গ্লাস এর ফাইভ এর প্রোটেকশন।
এই ফোনটির ব্যাক সাইডে দেওয়া হয়েছে ত্রিপল ক্যামেরা সেটআপ । যার প্রাইমারি লেন্স হলো ১০৮ মেগাপিক্সেল, সাথে দেওয়া হয়েছে একটি ৮ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের একটি ম্যাক্রো লেন্স। এই ফোনটির ব্যাক সাইডের ক্যামেরা দিয়ে আপনি ফুল এইচডি প্লাস ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। সাথে মোটামুটি ভালো মানের ফটোগ্রাফিও করতে পারবেন। সামনে দেয়া হয়েছে একটি ১৬ মেগাপিক্সেল এর সেলফি ক্যামেরা।
এই ক্যামেরাটিতেও আপনি ভাল মানের সেলফি তুলতে পারবেন সাথে ফুল এইচডি প্লাস ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন।
এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬ ন্যানোমিটারের স্ন্যাপড্রাগন ৬৫৬ ৫জি প্রসেসরটি। আর এই প্রসেসরটিতে আপনি পাবজি, ফ্রি ফায়ার, কোলাং রুটিক, এসপপাল৯ এর মতো গেম ভালোই স্মুথলি প্লে করতে পারবেন।
সাথে ভালো মাল্টি টাস্কিং করতে পারবেন। এই ফোনটিতে Out Of The Box দেওয়া হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১১ এই ফোনটির ব্যাক ইন্ড দেওয়া হয়েছে এমআইইউআই (MI UI) ১৩ । এই ফোনটিতে সিকিউরিটির জন্য দেওয়া হয়েছে চার মাউন্টের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
আর এই ফোনটিতে ব্যাটারির জন্য পেয়ে যাবেন 5000 mAh একটি ব্যাটারি সাথে পেয়ে যাবেন। ৬৭ ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জার। এই ফোনটি বর্তমানে ৬/১২৮ জিবি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৫ হাজার টাকার মধ্যে।
যারা এই বাজেটের মধ্যে ভালো ডিসপ্লে, সাথে ভালো ক্যামেরা সেটআপ,ও মোটামুটি গেমিং করতে চান তারা চাইলে এই ফোনটি নিতে পারেন।
Xiaomi 11 Lite NE 5G | শাওমি ১১ লাইট এনই ৫জি
আমাদের লিস্টে পাঁচ নম্বর অবস্থানে আমরা যে ফোনটি রেখেছি। এটি হলো শাওমি ইলেভেন লাইট এন ই ৫ জি ।এই ফোনটিতে ডিসপ্লেতে দেওয়া হয়েছে ৬.৫৫ ইঞ্চ সাইজের একটি ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে। যার সাথে থাকছে ৯০ হার্জ এর রিফ্রেশ রেট । এবং ডিসপ্লে কে প্রটেকশনের জন্য দেওয়া আছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ফাইভ এর প্রোটেকশন।
ফোনটির ব্যাক প্যানেলে আছে ত্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। যার প্রাইমারী লেন্স হলো ৬৪ মেগাপিক্সেল, সাথে দেওয়া হয়েছে একটি ৮ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াড লেন্স এবং সর্বশেষ দেওয়া হয়েছে একটি ৫ মেগাপিক্সেল এর টেলিফোটো ম্যাক্রো লেন্স।
ফোনটির ক্যামেরা দিয়ে আপনি 4K তে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। সাথে ভালো মানের ফটোগ্রাফি ও করতে পারবেন। এখানে দেওয়া আছে ২০ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি ক্যামেরা। এই ক্যামেরাটি দিয়েও আপনি ফুল এইচডি প্লাস রেজুলেশনে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। সাথে দারুণ সেলফি তুলতে পারবেন।
এই ফোনটি তে দেওয়া হয়েছে স্ন্যাপ ড্রাগনের একটি ৭৭৮ জি প্রসেসর। ৬ ন্যানোমিটার এর একটি দুর্দান্ত প্রসেসর এটি ।এবং এই প্রোসেসরটি দিয়ে আপনি পাবজি, ফ্রি ফায়ার, কল অব ডিউটি, এসপাল৯ এর মতো গেম গুলো স্মুথলি প্লে করতে পারবেন। সাথে ভালো মার্কেটিং এক্সপেরিয়েন্সও তো থাকছেই। কেননা এই ফোনটি বর্তমানে আমি নিজে ব্যবহার করছি।
আমি এর গেমিং পারফরম্যান্স ভালোই পাচ্ছি। এই ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ইলেভেন। এর ব্যাক প্যানেলে দেওয়া হয়েছে এমআইইউআই ১২.৫ (MIUI 12.5)।
ফোনটিতে সিকিউরিটির জন্যে দেওয়া হয়েছে সাইড মাউন্টের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। আর এখানে ব্যাটারি দেওয়া আছে 4250 mAh এর একটি ব্যাটারি। সাথে দেওয়া হয়েছে ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার। এই ফোনটি বর্তমানে আনঅফিশিয়ালভাবে ৬/১২৮ জিবি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৭৫০০৳ টাকাতে। এই বাজেটের মধ্যে এই ফোনটি একটি দুর্দান্ত স্টাইলিশ ফোন।
যারা কিনা ভালো ডিসপ্লে পেতে চান এবং ভালো ক্যামেরা সেটআপ পেতে চান তারা চাইলে এই ফোনটি নিতে পারেন।
Poco X3 Pro | পোকো এক্স থ্রী প্রো
আমাদের লিস্টে চার নম্বর স্থানে যে ফোনটি রেখেছি। এটি হলো পোকো এক্স থ্রি (Poco X3 pro) প্রো। এই ফোনটির ডিসপ্লে হিসেবে রাখা হয়েছে ৬.৬৬ ইঞ্চ সাইজের একটি ফুল এইচডি প্লাস আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে। সাথে ১২০ হার্জের রিফ্রেশ রেট এবং এই ডিসপ্লে তে দেওয়া আছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৬ এর প্রোটেকশন।
এর ব্যাক সাইডে দেওয়া হয়েছে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ । যার প্রাইমারি লেন্স হলো ৪৮ মেগাপিক্সেল। সাথে দেওয়া হয়েছে একটি ৮ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াডি লেন্স এবং যথাক্রমে দেওয়া আছে ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডিকসাস ওয়াড। এই ফোনটির ব্যাকসাইডের ক্যামেরা দিয়ে আপনি 4K তে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। সাথে ভালো মানের ফটোগ্রাফিও করতে পারবেন।
সামনে দেওয়া আছে ২০ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি ক্যামেরা। এই ক্যামেরাটি দিয়ে ও আপনি ফুল এইচডি প্লাস ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। সাথে এই বাজেটের মধ্যেও আপনি ভালোই সেলফি তুলতে পারবেন।
এই ফোনটি তে দেওয়া আছে স্ন্যাপড্রাগনের ৮৬০ প্রসেসরটি। এই প্রসেসরটিকে ৭ ন্যানোমিটার আর্কেটিকে বিলড করা এবং এই ফোনে আপনি পাবজি, ফ্রি ফায়ার, কোল ওব ডিউটি, এসপোল৯ এর মতো গেম স্মুথলি প্লে করতে পারবেন কোন প্রকার ল্যাগিং ইস্যু ছাড়াই।
একই সাথে ভালো মাল্টিটাস্কিং করতে পারবেন। এই ফোনটিতে আউট অফ দা বক্স দেওয়া হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১১ এর ব্যাক ইন্ড এ দেওয়া আছে। এমআইইউআই ১২ । এই ফোনটিতে সিকিউরিটির জন্য দেওয়া আছে সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। আর এই ফোনটিতে ব্যাটারির জন্য আপনি পেয়ে যাবেন 5160 mAh এর একটি ব্যাটারি। সাথে পেয়ে যাবেন ৩৩ ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জার।
এই ফোনটি বর্তমানে আনঅফিসিয়াল ভাবে ৮/১২৮ জিবি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে ২৩ থেকে ২৪ হাজার টাকার মধ্যে। যাদের বাজেট ২৩ থেকে ২৪ হাজার টাকা এবং এই বাজেটের মধ্যে সবথেকে বেস্ট একটি গেমিং ফোন কিনতে চান তারা চোখ বুজে এই ফোনটি কিনতে পারেন।
Realme GT Master Edition | রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন
আমাদের লিস্টের তিন নম্বর অবস্থানে আমরা যে ফোনটি রেখেছি। এটি হলো রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন ( Realme GT Master Edition )। এই ফোনটিতে ডিসপ্লের জন্য দেওয়া হয়েছে ৬.43 ইঞ্চ সাইজের একটি ফুল এইচডি প্লাস সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ১২০ হার্জের রিফ্রেশ রেট তো রয়েছেই।
এবং এই ফোনটির ব্যাক সাইডে দেওয়া আছে ত্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। যার প্রাইমারি লেন্স হল ৬৪ মেগাপিক্সেল। সাথে দেওয়া আছে ৮ মেগাপিক্সেল এর একটি আল্ট্রা ওয়াডিং লেন্স এবং সর্বশেষ দেওয়া আছে একটি ২ মেগাপিক্সেল এর ম্যাক্রো লেন্স। এই ফোনটির ব্যাকসাইডের ক্যামেরা দিয়ে আপনি 4K রেজুলেশনে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। সাথে ভালো মানের ফটোগ্রাফিও করতে পারবেন। এখানে দেওয়া আছে ৩২ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি ক্যামেরা। এই ক্যামেরাটি দিয়ে আপনি ফুল এইচডি প্লাস ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন । সাথে দুর্দান্ত মানের সেলফি তুলতে পারবেন।
এই ফোনটিতে স্ন্যাপড্রগনের ৭৭৮ জি এর ৫জি প্রসেসর টি ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রসেসরটি ৬ ন্যানোমিটার আর্কেটিকে বিল এবং এই প্রসেসরটি দিয়েও আপনি পাবজি, ফ্রি ফায়ার, কল অব ডিউটি, এসপোল৯ এর মতো হেভি গেম গুলো স্মুথলি প্লে করতে পারবেন। এই ফোনটি বিশেষ করে গেমার দের জন্য বানানো হয়েছে।
এই ফোনটিতে মাল্টিটাস্কিং এর কাজ ও খুব ভালভাবেই করতে পারবেন। আউট অফ দা বক্স এই ফোনটিতে দেওয়া আছে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১১ । এর ব্যাক হ্যান্ড এ দেওয়া আছে রিয়েল মি ইউআই টু পয়েন্ট জিরো ( Realme UI 2.0 ) এই ফোনটিতে আপনি সিকিউরিটির জন্য পেয়ে যাবেন ইন ডিসপ্লে অপটিক্যাল সেন্সর।
আর এই ফোনটিতে আপনি ব্যাটারি পেয়ে যাবেন 4300 mAh এর একটি ব্যাটারি। সাথে পেয়ে যাবেন ৬৫ ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জার। এই ফোনটি বর্তমানে ৮/১২৮ জিবি ভেরিয়েন্টি পাওয়া যাচ্ছে আনঅফিশিয়ালভাবে ত্রিশ হাজার টাকার মধ্যে। যাদের বাজেট ৩০,০০০৳ টাকা এবং এই বাজেটের মধ্যে ভালো গেমিং ফোন কিনতে চান সাথে ভালো ডিসপ্লে এবং ক্যামেরা সেটআপ পেতে চান তারা চাইলে এই ফোনটি নিতে পারেন।
OnePlus Nord CE2 | ওয়ানপ্লাস নর্দ সিই ২
আমাদের লিস্টে দুই নাম্বার অবস্থানে আমরা যে ফোনটি দেখেছি এই ফোন টি হলো OnePlus Nord CE2 | ওয়ানপ্লাস নর্দ সিই ২। এই ফোনটিতে ডিসপ্লের জন্য দেয়া হয়েছে ৬.৪০ ইঞ্চ সাইজের বিশাল একটি ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও ৯০ হার্জের রিফ্রেশ রেট। এই ডিসপ্লেটি এইচ আর টেন প্লাস সাপোর্টেট। এখানে দেয়া হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ফাইভ এর প্রটেকশন।
এই ফোনটির ব্যাক সাইডে দেওয়া আছে ত্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। যার প্রাইমারি লেন্স হল ৬৪ মেগাপিক্সেল। সাথে দেয়া হয়েছে একটি ৮ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াডিং লেন্স।এবং সর্বশেষ দেয়া হয়েছে ২ মেগাপিক্সেলের একটি ম্যাক্রো লেন্স। এই ফোনটির ব্যাক সাইডের ক্যামেরা দিয়ে আপনি 4K তে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। সাথে ভালো মানের ফটোগ্রাফি করতে পারবেন।
এখানে দেয়া হয়েছে ১৬ মেগা পিক্সাল এর একটি সেলফি ক্যামেরা। এই ক্যামেরাটি দিয়ে আপনি ফুল এইচডি প্লাস ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। সাথে ভালো সেলফি তলার অভিজ্ঞতা। এই ফোনটির প্রসেসর কথা বলতে গেলে এখানে দেওয়া আছে মিডিয়া টেক ডায়মনসিটি ৯০০ প্রসেসরটি। এই প্রসেসরটিতে ৬ ন্যানো মিটার আর্কেটিকে বিলড করা এবং এই প্রসেসরটি দিয়ে আপনি পাবজি,ফ্রী ফায়ার, কল অব ডিউটি, এসপোল ৯ এর মতো গেম স্মুথলি প্লে করতে পারবেন কোনো প্রকার ল্যাগিং ইস্যু ছাড়াই। সাথে ভালো মাল্টি টাস্কিং এর অভিজ্ঞতা ও পাবেন।
এই ফোনে দেওয়া আছে অ্যান্ড্রোয়েড ভার্সন ১১ এবং অক্সিজেন ওএস ১১ ( Oxygen OS 11 )। এই ফোনটিতে সিকিউরিটির জন্য দেওয়া হয়েছে ইন ডিসপ্লে অপটিক্যাল সেনসর। আর এই ফোনটিতে ব্যাটারির জন্য পেয়ে যাবেন 4500 mAh এর একটি ব্যাটারি। সাথে পেয়ে যাবেন ৬৫ ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জার।
এই ফোনটি বর্তমানে আনঅফিসিয়ালভাবে ৮/১২৮ জিবি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে ত্রিশ হাজার টাকার মধ্যে। যাদের বাজেট ৩০,০০০৳ টাকা এবং এই বাজেটের মধ্যে একটি ভালো গেমিং ফোন কিনতে চান সাথে ভালো ডিসপ্লের ফোন কিনতে চান তারা চাইলে এই ফোনটি নিতে পারেন।
Poco F3 | পোকো এফ ৩
আমাদের ৭ টি সেরা গেমিং মোবাইল লিস্টের এক নম্বর পজিশনে আমরা যে ফোনটি রেখেছি। এই ফোনটি হলো Poco F3 | পোকো এফ ৩। এই ফোনটির ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে ৬.৭ ইঞ্চ সাইজের একটি বিশাল ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে যার সাথে থাকছে ১২০ হার্জের রিফ্রেশ রেট। এবং এই ডিসপ্লেটি এইচ ডি আর টেন প্লাস সাপোর্ট করে। ডিসপ্লের প্রোটেকশন হিসেবে এখানে দেওয়া আছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ফাইভ এর প্রোটেকশন।
এই ফোনের ব্যাক সাইডে দেওয়া আছে ত্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। যার প্রাইমারি লেন্স হল ৪৮ মেগাপিক্সেল। সাথে দেওয়া আছে একটি ৮ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স। এবং দেওয়া আছে একটি ৫ মেগাপিক্সেল এর ম্যাক্রো লেন্স। এই ফোনটির ব্যাক সাইডের ক্যামেরা দিয়ে আপনি 4K তে ৩০ এফপিএস (30 FPS) এ ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। সাথে ভালো মানের ফটোগ্রাফি করতে পারবেন। সামনের ক্যামেরা হিসেবে দেওয়া আছে ২০ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি ক্যামেরা। এই ক্যামেরাটি দিয়েও আপনি ফুল এইচডি প্লাস ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন।
স্ন্যাপড্রাগনের 870 5G প্রসেসরটি থাকছে এই মোবাইল ফনটি তে। এই প্রসেসরটি এক ৭ ন্যানোমিটার
আর্কটিকে বিলড করা হলেও দারুণ পারফর্ম করে এবং এই প্রসেসরটি দিয়ে আপনি যে কোনো ধরনের গেম হাই সেটিংসে আল্ট্রা মুডে আপনি গেম প্লে করতে পারবেন কোন প্রকার ল্যাগিং ইস্যু ছাড়া।
সাথে ভালো মাল্টি-টাস্কিং এক্সপেরিয়েন্সও পেয়ে যাবেন। এই ফোন দেওয়া হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১১ এবং এমআইইউআই ১২.৫। এই ফোনটিতে সিকিউরিটির জন্য দেওয়া হয়েছে সাইড মাউন্টের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। আর এই ফোনটিতে ব্যাটারির জন্য দেওয়া হয়েছে 4520 mAh এর একটি ব্যাটারি। সাথে দেওয়া হয়েছে ৩৩ ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জার।
এই ফোনটি বর্তমানে ৮/১২৮ জিবি ভেরিয়েন্টে আনঅফিশিয়ালভাবে পাওয়া যাচ্ছে ২৭,৫০০৳ টাকায়।যাদের বাজেট ২৭ থেকে ২৮ হাজার টাকা এবং এই বাজেটের মধ্যে সবথেকে ভালো গেমিং ফোন কিনতে চান এবং অলরাউন্ডার পারফরমেন্স পেতে চান। সেই সাথে, ভালো ডিসপ্লে পেতে চান তারা চোখ বুজে এই ফোনটি কিনতে পারেন।
এই ছিল বর্তমান মার্কেটে সবথেকে ৭ টি সেরা গেমিং মোবাইল। যেই সাতটি ফোন আপনাকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে সবথেকে বেস্ট ভেলু ফর মানি প্রোভাইড করবে। আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী এই সাতটি ফোনের মধ্যে যে কোনো একটি ফোন কিনতে পারেন।
আমাদের শেষকথা








0 Comments
Thanks for submiting your comment. I will replay as soon as possible.
Thanks.